Posts

Showing posts from September, 2020

ঝগড়াতে জেতার বিষয়টাই কি বড় হয়ে যায় ?

Image
যে কোনো ধরনের সম্পর্কে মতের অমিল, কথা কাটাকাটি হতেই পারে। তবে সমস্যাটা বাঁধে যখন ঝগড়া শেষ হয় না। ঝগড়াটাকে মুখ্য না করে ফেলা: অনেক সময় আমরা ভুলে যাই ঝগড়াটা আসলেই কী নিয়ে শুরু হয়েছিল। তখন মূল সমস্যা মেটানোর চেয়ে ঝগড়া চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েই বা ঝগড়াতে জেতার বিষয়টাই বড় হয়ে যায়।  এটা সম্পর্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে যেটা সবচেয়ে খারাপ হয় তা হচ্ছে ঝগড়া মিটে যাওয়ার পরেও রাগের মাথায় বলা কটু কথা সম্পর্কের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে গেলে সব সময় মনে রাখতে হবে, পুরানো সমস্যা খুঁচিয়ে ঝগড়া করা কোনো ভালো ফল বয়ে আনে না।

মানসিক চাপ, উদ্বেগ,অশান্তি বা টেনশন

Image
জন্তু জানোয়ারের কোন উদ্বেগ বা উৎকন্ঠা আছে কি না জানা নেই; হয়তো বিপজ্জনক কিছু সামনা সামনি এসে গেলে ভয় পায়, কিন্তু মানুষি একমাত্র জীব বোধহয় আগামী দিনের খারাপ কিছুর কথা ভেবে উদ্বেগ গ্রস্থ হয়।সব মানুষের এই উদ্বেগ বা টেনশন সমান নয়। কেউ কেউ বেশী উদ্বিগ্ন বা উৎকন্ঠায় থাকে,আর কেউ কম টেনশনে থাকে।তাই মনকে টেনশন-ফ্রি করার জন্য আমরা কত কি করে থাকি, যেমন যোগ ব্যয়াম করি,মেডিটেশন করি ইত্যাদি। মানসিক চাপ বা উৎকন্ঠা সবসময় খারাপ তা কিন্তু নয়।যেমন কা রও যদি পরীক্ষায় ফেল করার যদি কোনো ভয় না থাকে তবে সে পড়াশোনা ঠিক মতো করবে না, তাতে তার ফলও ভাল হবে না।আবার যদি খুব বেশী দুশ্চিন্তা থাকে পরীক্ষানিয়ে তাহলে পড়ায় মন বসাতে পারবে না, তাতে ফল ভাল হবে না।একটু টেনশনে সাধারনতঃ ভালই হয়। কি কি কারনে মানসিক চাপ বা টেনশন হতে পারে? দেখা গেছে যে মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখের ঘটনা বা সবচেয়ে বেশী মানসিক চাপ সৃষ্টি করে-তা হলো স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু।এছাড়া আরও অনেক কারন আছে যেমনঃবিবাহ বিচ্ছেদ, জেল খাটা, পরিবারের কোন ঘনিষ্টজনের মৃত্যু,চাকরি চলে যাওয়া বা অবসর নেওয়া,সন্তান গর্ভে আসা, কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়া,বাড়ীর লোকজনের সাথে ...

প্যানিক অ্যাটাক(Panic attack) সম্পর্কে জেনে নিন

Image
  উদ্বিগ্ন মানুষদের কখনও কখনও টেনশন বা Anxiety তীব্র আকারে হতে পারে,তখন সেই অবস্থাটাকে বলা হয় প্যানিক অ্যাটাক(Panic Attack). এর উপসর্গগুলি হলঃ ১)হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে উঠা,মনে হতে পারে এখুনি হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। ২)জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে,মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে যাবে,তখন আক্রান্ত ব্যক্তি খোলা যায়গায় যেতে চেষ্টা করে। ৩)অনেক ঘামতে থাকে,ভয়ে গলা মুখ শুকিয়ে যায়,মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে।মনে হতে পারে মাথাঘুরে পড়ে যাবো। ৪)হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়,মনে হতে পারে হাত পায়ের আঙ্গুলে যেন ছুঁচ ফুটছে। ৫)বমির ভাব বা বমিও করতে পারে।জোরে পায়খানা বা পেচ্ছাব পেতে পারে। ৬)অত্যধিক ভাবে হলে,রোগী বুঝতে পারে না আশেপাশে কি হচ্ছে। এই প্যানিক অ্যাটাক কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত্য হতে পারে।এটা দিনে বার বার হতে পারে। আবার কারও কারও হয়ত মাসে বা সপ্তাহে কয়েকবার হতে পারে। এই প্যানিক অ্যাটাকের ভয়ে অনেক সময় রোগী বা রোগীনী স্বাভাবিক হতে পারে না।সব সময় ভাবতে থাকে এই বুঝি আবার হবে।এর জন্য উদ্বিগ্ন ভাব সবসময় কম বা বেশী করে থাকে। এই প্যানিক অ্যাটাক কারো কারো বিশেষ ক্ষেত্রে হতে পারে। যেমন কারো বাইরে একা গেলে হয়। কারও কোনো ...

অত্যধিক টেনশনের জন্য যে শারীরিক অসুখগুলি হতে পারে

Image
পেটে,মানে পাকস্থলিতে আলসার বা ঘা —মনের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি হওয়া এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকস্থলিতে আসিড ও পেপিসন নামক হরমোনের অধিক ক্ষরনের ফলে পাকস্থলিতে আলসারের বৃদ্ধি পায়।সেই জন্য টেনশন কমানোর জন্য নানা ঔষধ দিয়ে এই রোগের প্রকোপ কমানো হয়। উদ্বেগজনিত মাথাব্যথা  (Tension headache)—এই ব্যথা সাধারনতঃ দিনের শেষে শুরু হয়, কারো কারো সারাদিনই থাকতে পারে।এটা হয় মাথা ও ঘাড়ের মাংস পেশীর টেনশনের কারনে সংকোচনের জন্য।অনেক সময় এর সংগ ে মানসিক অবসাদও দেখা যায়। যৌন সমস্যা —উদ্বেগের কারণে যৌনকাঙ্খা কমে যেতে পারে।পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গের দৃড়ভাব কমে যেতে পারে এবং নারীদের ক্ষেত্রে যৌনজীবন সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের বা হৃদযন্ত্রের অন্যান্য অসুখ —যারা অনেক মানসিক চাপের মধ্যে দীর্ঘিদন কাজ করেন, বা যাদের পরিবারে কারো ঊচ্চরক্তচাপ আছে,বা হার্টের অসুখ আছে, তাদের, অত্যিধিক টেনশনে থাকলে, ঐ রোগ গুলি হতে পারে।দেখা গেছে যে উদ্বেগের কারনে রক্ত চাপ অনেক বেশী বেড়ে গেলে ব্রেনে বা হার্টে ষ্ট্রোক হতে পারে। হাঁপানি রোগ  —উদ্বেগের কারণে Asthma বা হাঁপানির টান বেশী হতে পারে।যাদের সব...

আপনি কি জাজমেন্টাল ???

Image
  নিজের জাজমেন্ট দেয়া আর জাজমেন্টাল আচরণ এক জিনিস নয়। কোন একটা বিষয়ে আপনার মতামত আপনি তখনই দিতে পারেন, যখন সেটা আপনার কাছে চাওয়া হয় অথবা যার বিষয়ে মতামত দেয়ার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু অনেক সময় আমরা পুরো বিষয়টি না জেনেই সেটা জাজ করি। যে কোন ব্যাপারেই যেন বিচারক বনে যাই। জাজ করা যেন একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে আমাদের। হয়ত অনেক সময় সেটা কাজে লাগে, আবার অনেক সময় হয়ত কারও জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কখনো বা আবার এতে অনেকে কষ্টও পেয়ে থাকেন। অথচ এটাও কিন্ত সত্যি যে কষ্টও দেয়ার উদ্দেশ্য হয়ত থাকে না কারোরই। কিন্তু এই অভ্যেসটা যে আসলে খুব একটা ভালো অভ্যেস নয়, সেটা কিন্ত আমাদের বুঝতে হবে। ছবি ক্রেডিটঃপাউলা'স পয়েন্ট

ডিপ্রেশন পর্ব -৩

Image
 আগের পর্বের পর...  *নানা চাহিদা। চাহিদার শেষ নেই। একটা পেলে আরেকটা চায়। কখনো একটাতে বা একটুতে সন্তুষ্ট নয়। বারবার বিভিন্ন ধরনের আবদার বা বায়না করতে থাকে। *ভালোবাসা বা প্রেম  ভালোবাসায় ব্যর্থতা আসলে, প্রেম সফল না-হলেই ডিপ্রেশন হয়ে যাওয়া। ফলে নেশা করে বা অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ করতে থাকে। *ক্রোধ  যে ধরনের বিচার বা চিন্তা চলবে তা যদি নেতিবাচক বা ব্যর্থ হয় তাহলে ক্রোধ জন্ম নেয়। এড্রোনিল গ্রন্থি, ক্যাপিলারি টিউব, নিউরোনসের যেমন ক্ষতি হতে পারে, তেমনি ভুলও হতে পারে। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ডিপ্রেসড হতে সাহ ায্য করে। ক্রোধের বশে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। অনেকে বলেন, ক্রোধ ছাড়া চলে না। এটা ভুল। ক্রোধ শুধু ক্রোধ নয়-এ যেমন নিজেকে জ্বালায়, অন্যকেও জ্বালায়। ফলে, ক্রোধ হলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। ডিপ্রেশনের শিকার হতে হয়। * ইমোশন ইমোশনাল হওয়া ভালো কিন্তু অতি ইমোশনাল হওয়া ভালো নয়। এ হলো ডিপ্রেশনের লক্ষণ। ইমোশনাল ব্যক্তি বারবার চেষ্টা করে অন্যকে আকর্ষিত করতে। যখন পারে না বা নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যখন ব্যর্থ হয়, তখন ডিপ্রেশন আক্রান্ত হয়ে যায়। *আত্মহত্যা  আত...
Image
বদমেজাজ;পর্ব -২ বদমেজাজি মানুষেরা পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে অবহেলার শিকার হন।কঠিন এই স্বভাবের কারনে কেউ তার সাথে মিশতে চায় না। নিজের ধারনাকে সঠিক আর অন্যকে সবসময় ভুল ভাবার কারনে সকলের সাথে তার মতভেদ/ঝগড়া হয়। একে তো বদমেজাজী ,তার ওপর এই আত্নতুষ্টি থাকায় তার সঙ্গে বসবাসকারী স্ত্রী ও সন্তানরা অধিকাংশ সময়েই অবসাদে (Depression ) ভুগতে থাকেন । কারো যদি বদমেজাজী স্বভাব হয় ও সে যদি নিজে এটা জা নেন তাহলে দয়া করে সতর্ক হন । এই স্বভাবের জন্য আপনি খুব তাড়াতাড়ি হাইপারটেনশন , সুগা র , পেটের সমস্যা , মাথাধরা ও আরো অনেক জটিল রোগের শিকার হতে চলেছেন । নিজেকে একটু বোঝান যে শুধু আপনার এই বদমেজাজী স্বভাবের জন্য আপনার সঙ্গে সঙ্গে আপনার পরিবারও শেষ হতে চলেছে । যদি কোন শারীরিক সমস্যার জন্য এটা হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে তার ট্রিটমেন্ট করান ।মানষিক শান্তি স্থাপনের জন্য যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন খুবই ভালো দুটো পদ্ধতি । এগুলি চেস্টা করে দেখতে পারেন । আর সর্বোপরি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন , আপনার পরিবারকে ভালো রাখার স্বার্থে আপনাকে এই বদমেজাজী স্বভাব পরিত্যাগ করতেই হবে । তথ্যসুত্রঃইন্টারনেট

বদমেজাজ কেন ক্ষতিকর

Image
আমাদের সবারই চেনা কিছু মানুষ আছে যারা প্রচণ্ড বদমেজাজী । তাদের সঙ্গে ভালো করে কোন বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করা তো দূর , কোন সাধারণ কথা বললেও তারা অত্যন্ত বিরক্ত হন । বদমেজাজী স্বভাবের সঙ্গে কিছু মানুষের personality' র আরো একটি সমস্যা থাকে যাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় ' A -Type Personality ' বলে । এক্ষেত্রে এই মানুষটি নিজের বক্তব্যকেই একমাত্র সঠিক বলে মনে করেন । তার কথাই ঠিক,তাকে যতই বোঝানো হোক না কেন । আসলে একটু ভালোভাবে তাদের সঙ্গে মিশলে বোঝা যাবে তারা ভিতর  থেকে খুবই একা । তাই নিঃসঙ্গ জীবন যাপনই পছন্দ করেন বেশি । কেন তারা এতো নিঃসঙ্গ জীবনকে বেছে নিচ্ছেন সে বিষয়ে জানতে হলে তার পেছনে আসা জীবনটাকে একটু অধ্যয়ন করা দরকার । এই বদমেজাজী স্বভাব সৃস্টি হবার অনেক কারণ থাকতে পারে । এর মধ্যে কিছুটা শারীরিক ও কিছুটা মানষিক । ছোটোবেলা থেকে কোন কঠিন রোগে ভুগতে থাকলে মেজাজ এমনিতেই রুক্ষ হয় ।   শিশুদের বদমেজাজ অপুস্টিতে ভোগা শিশু যদি পরবর্তী সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পায় তাহলে সে বড় হয়ে রুক্ষ ও বদমেজাজী হতে পারে । পেটের গণ্ডগোলে ভোগা যে কোন মানুষের অন্য মানুষদের তুলনায় বদমেজাজী হবার চান্স অনেক বেশি...

ডিপ্রেশন দ্বিতীয় পর্ব

Image
আগের পর্বের ধারাবাহিকতায় ... *হরমোন চেঞ্জ  হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকলে ডিপ্রেশন আসে। বয়ঃসন্ধিকালে এই ধরনের অবস্থা লক্ষ করা যায়। *নানা চাহিদা। চাহিদার শেষ নেই। একটা পেলে আরেকটা চায়। কখনো একটাতে বা একটুতে সন্তুষ্ট নয়। বারবার বিভিন্ন ধরনের আবদার বা বায়না করতে থাকে। *ভালোবাসা বা প্রেম  ভালোবাসায় ব্যর্থতা আসলে, প্রেম সফল না-হলেই ডিপ্রেশন হয়ে যাওয়া। ফলে নেশা করে বা অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ করতে থাকে। *ক্রোধ  যে ধরনের বিচার বা চিন্তা চলবে তা যদি নেতিবাচক বা ব্যর্থ হয় তাহলে ক্রোধ জন্ম নেয়। এড্রোনিল গ্র ন্থি, ক্যাপিলারি টিউব, নিউরোনসের যেমন ক্ষতি হতে পারে, তেমনি ভুলও হতে পারে। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ডিপ্রেসড হতে সাহায্য করে। ক্রোধের বশে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। অনেকে বলেন, ক্রোধ ছাড়া চলে না। এটা ভুল। ক্রোধ শুধু ক্রোধ নয়-এ যেমন নিজেকে জ্বালায়, অন্যকেও জ্বালায়। ফলে, ক্রোধ হলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। ডিপ্রেশনের শিকার হতে হয়। *ইমোশন  ইমোশনাল হওয়া ভালো কিন্তু অতি ইমোশনাল হওয়া ভালো নয়। এ হলো ডিপ্রেশনের লক্ষণ। ইমোশনাল ব্যক্তি বারবার চেষ্টা করে অন্যকে আকর্ষিত করতে। যখন পা...

রাগ নিয়ন্ত্রণ উপায় ?

Image
  রাগলে পৃথিবী ওলটপালট করে দিতে পারার ক্ষমতা অনেকেই রাখেন। এতে কার কী উপকার হয় জানা নেই। তবে যিনি রাগেন, ক্ষতিটা তারই হয়। রাগের মাথায় মানুষ অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলে বা করে ফেলে যার জন্য সারাজীবন আফশোস করেও আর কোন লাভ হয় না। রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতেই পারে। ১) মাথা গরম হলেই যেখান আছেন, সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান। সব সময় হয়তো তেমন পরিস্থিতি থাকে না কিন্তু এটা করতে পারলে রাগের মাথায় অনেক ভুল কাজ করে ফেলা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। ২)আপনি কোনোভাবে রাগ কমাতে না পারেন তাহলে ওয়াশ রুমে গিয়ে মুখে ভালোভাবে পানি ঝাপটে নিন। বাসায় থাকলে গোসল করতে পারেন। রাগ কমাতে এটি খুব কাজে দেয়। ৩) হাতের কাছে কাগজ থাকলে আঁকাআঁকি কাটতে শুরু করুন। মাথা যত ঠান্ডা হতে থাকবে, ততই দেখবেন ওই আঁকাআঁকি পালটে যাচ্ছে সুন্দর ছবিতে। ৪) কেউ কোন খারাপ কথা বলায় যদি রাগ হয় তবে চেঁচামেচি না করে ঠান্ডা মাথায় তাকে কঠিন কথা বলুন। মিষ্টি করেই কিন্তু সবচেয়ে সাংঘাতিক কথা বলা যায়। ৫) খুব বেশি স্ট্রেসড লাগলে নির্জন কোণ বেছে নিন এবং তারপর রাগের কারণটি নিয়ে নিবিড়ভাবে ভাবতে থাকুন। আপনি কতটা খারাপ আছেন, আপনার উপ...

মানসিক চাপ কিভাবে কমাবেন ?

Image
  পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, সম্পর্কে অবনতি, অর্থনৈতিক সংকট, খারাপ স্বাস্থ্য, এমনকি ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু এসব বিভিন্ন কারণে আমরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকি। এই মানসিক চাপ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই নিজেকে ভালো রাখতে চাপ কমানো জরুরি। মানসিক চাপ কমাতে হলে শুরুতে চাপ হওয়ার কারণগুলো জানতে হবে। সমস্যার গভীরে গিয়ে সমাধান করতে হবে। মানসিক চাপ একা একা সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। চাপ নিয়ন্ত্রণে বন্ধু,পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্ শ নিতে পারেন। মানসিক চাপ দূর করার কিছু পদক্ষেপের হতে পারে এরকম। ১/ মেডিটেশন: মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠার সর্বোত্তম পন্থা মেডিটেশন বা ধ্যান। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে মেডিটেশন করলে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত পেতে পারেন। ২/ ভালো ঘুম: চাপমুক্ত জীবনে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। মনকে প্রফুল্ল রাখতে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম আবশ্যক। আর যদি এ পরিমাণ ঘুম হয় তাহলে মানসিক চাপের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ৩/ হাঁটা: খুব সহজ ও সস্তা ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। ফিট ও সুস্থ্য থাকতে প্রত্যেকেরই প্রতিদিন হাঁটা উচিৎ। অধিকন্তু হাঁটা মানসি...

কীভাবে দূর করবেন হতাশা

Image
হতাশা এক ধরনের মানসিক অবস্থা। যখন ব্যক্তি জীবনের প্রতি সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, আশা দেখতে না পায়, নিজের সম্বন্ধে, অন্যের সম্বন্ধে, এমন কি সমগ্র পৃথিবী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে এবং এই অবস্থা যদি অন্তত ১৫ দিন বা তার বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তখন তাকে হতাশা বলে। হতাশা বাড়তে বাড়তে বিষণ্ণতার দিকে চলে যায়। তবে সমস্যা হয় তখনই যখন এটি কাটিয়ে উঠতে একজন ব্যক্তিকে নিজের সাথে ভীষণ লড়াই করতে হয়। হতাশা কেন হয় । এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সালমা পারভিন বলেন । দীর্ঘদিন ধরে নেতিবাচক অবস্থার মধ্য দিয়ে গেলে হতাশা কাজ করতে পারে।কারো কারো ব্যক্তিত্বের ধরনই নেতিবাচক থাকে। তারা হতাশবোধ করে।সমস্যা মোকাবিলা করার দক্ষতা কম থাকলে ভয় পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা কম থাকলেও সমস্যার মধ্যে আটকে যায়, ঘুরপাক খেতে থাকে হতাশার ভেতর। কারো কারো চিন্তার মধ্যে ত্রুটি থাকে। কোনো কোনো ঘটনায় সে ব্যর্থ হলে, সে ভাবে সারা জীবন সে ব্যর্থ হবে। একবার একটি কাজ না পারলে দ্রুত উপসংহারে পৌঁছে যায়, ভাবে কিছু হবে না। এসব ভেবে হতাশ হয়। অনেকে তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে দেখে। আর এগুলো ভাবতে ভাবতে হতাশার মধ...

আমার কখনো ভুল হয়না/আমি ভুল বলিনা - ইগো

Image
  ইগো। ছোট্ট একটা শব্দ, অথচ ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত এর ইম্প্যাক্ট খুবই ভয়ানক। অনেকে ইগো এবং সেলফ রেস্পেক্ট কে একই জিনিস ভেবে ভুল করেন। বস্তুত ইগো এবং সেলফ রেস্পেক্ট এর মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। সহজ কিছু উদাহরণ দেইঃ আমি ভাল লিখতে পারি - সেলফ রেস্পেক্ট। আমি অমুকের চেয়েও ভাল লিখতে পারি - ইগো। আমি ভাল ব্যাটিং করতে পারি - সেলফ রেস্পেক্ট। আমি অমুকের চেয়েও ভাল ব্যাটিং করতে পারি - ইগো। মানুষ ভুল করে, ভুল আমারও হতে পারে - সেলফ রেস্পেক্ট। আমার কখনো ভুল হয়না/আমি ভুল বলিনা - ইগো অর্থাৎ সেলফ রেস্পেক্ট হচ্ছে নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা এবং সে অনুযায়ী নিজেকে মুল্যায়ন করা, এবং এই মুল্যায়ন অন্যের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গীর উপর নির্ভর করেনা। ভুলটা আপনার নিজের জানার পর সেটা স্বীকার করে সেলফ রেস্পেক্ট আপনার নিজের মুল্যটা ধরে রাখতে শেখায়, অন্যকে আঘাত না করেই। অপরদিকে ইগো হচ্ছে নিজেকে আর সবার চেয়ে বেটার ভাবা, আপনি ভুল বলছেন কিংবা করছেন জেনেও অন্যের কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে অহেতুক বাগাড়ম্বর করা। ভুলটা আপনার জানার পরও অন্যকে কষ্ট দিয়ে কিংবা পৃথিবী চুলায...

কোয়ারেন্টাইনের সময় কি করবো ?

  বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকুন। সম্ভব না হলে, অন্যদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফুট) দূরে থাকুন, ঘুমানোর জন্য পৃথক বিছানা ব্যবহার করুন। # আলো বাতাসের সুব্যবস্থা সম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকুন এবং অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকুন। # সম্ভব হলে আলাদা গোসলখানা এবং টয়লেট ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে, অন্যদের সাথে ব্যবহার করতে হয় এমন স্থানের সংখ্যা কমান ও ওই স্থানগুলোতে জানালা খুলে রেখে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করুন। # বুকের দুধ খাওয়ান এমন মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন। শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। # বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে, বিশেষ করে এক মিটারের মধ্যে আসার সময় মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। # মাস্ক পরে থাকাকালীন এটি হাত দিয়ে ধরা থেকে বিরত থাকুন। মাস্ক ব্যবহারের সময় প্রদাহের (সর্দি, থুতু, কাশি, বমি ইত্যাদি) সংস্পর্শে আসলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে ফেলুন এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন এবং সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। # টিস্যু পেপার ও মেডিক...

অনলাইন কাউন্সেলিং সেবা

  আমরা ২৪ ঘন্টা অনলাইন কাউন্সেলিং সেবা চালু করেছি ।করোনা মহামারির এই সময়ে সবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা গুরুত্ব দিয়ে । আমাদের ফেসবুকে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ও হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন যেকেউ। করোনা পরিস্থিতিতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিনামূল্যে টেলি ও ভিডিও কাউন্সেলিং সেবা পাবেন সবাই। ফোন: ০১৫১৭৮১৬০৪৫

ডিপ্রেশনের লক্ষণ

Image
  *কখনো খুশি কখনো উদাসী। সকালে ভালো বিকেলে খারাপ। আজ বেশ আনন্দে আছে কাল মানসিক যন্ত্রণায় গুমরে মরছে। *জীবনটাকে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। কখনো ভাবে এই জীবন জীবন নয়। কখনো ভাবে এইতো বেশ আছি, ভালো আছি। *জীবনের প্রতি ঘৃণা বা উদাসীনতা। মনে হয় অনেক কিছু পাওয়ার ছিল, করার ছিল, হলো না। অতএব এই জীবনটা অর্থহীন। এটাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে কিন্তু আর কত দিন? *কিছু কেউ বলুক, যদি ভালো বলে না তো ঠিক আছে কিন্তু বিরূপ সমালোচনা করলে টেম্পার লুস করে দেয় বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে । *কেমিক্যাল চেঞ্জ। শরীরে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া ও অহেতুক শরীরকে কষ্ট দেওয়া। *মানসিক ফোবিয়া। *অন্ধকারকে ভয়, কোনো জন্তু, পোকা, পানি, আগুনের ভয় বা অজানা আতঙ্ক। বারবার হাত-পা ধোয়া, গোসল করা, ঘ্যান ঘ্যান করা ইত্যাদি। আবার অহেতুক চিন্তা ও উত্তেজনা, একটুতেই ঘাবড়ে যাওয়া, একটুতেই ভেঙে পড়া। *কাজ করার ইচ্ছা হয় না। উৎসাহের অভাবে অল্প বয়সেই ক্লান্তি অনুভব করা। কাজ করার ক্ষমতা আছে কিন্তু ইচ্ছার অভাবে কিছুই করতে চায় না। অলসতা যেন গ্রাস করে ফেলছে। এমনকি খেলাধুলা বা পড়াশোনার ক্ষেত্রেও উৎসাহের অভাব হলে বুঝতে হবে ডিপ্রেশন হয়ে আ...

বন্ধু তোমার

Image
  " বন্ধু    তোমার",মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র। সব ধরনের মানসিক-সামাজিক-পারিবারিক সমস্যা-সংকোচ দূর করা নিয়ে আমরা কাজ করে থাকি।কাউন্সেলিং,টেলি কলিং,সাইকোল্লোজিক্যাল সাপোর্ট,বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার টেস্ট সহ যে কোনো মানসিক সাহায্যের জন্য আমাদের কে মেসেজ করতে পারেন। বন্ধু পাশে আছি সব সময়।

"বন্ধু তোমার" কি এবং কেন ?

Image
  “বন্ধু তোমার” বাংলাদেশের একটি মানসিক সহায়তা বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল, যেখানে যে কেউ আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে জর ুরী মানসিক সেবা পেতে পারেন। প্রতিনিয়ত জীবনে আমাদের নতুন নতুন পরীক্ষা পার করতে হয় । টিকে থাকার এই কঠিন প্রতিযোগিতায় অনেক মানুষের মনে হতাশা, একাকীত্ব, মানসিক চাপ এবং আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায় । জীবনের কঠিনতায় স্বস্তির পরশ এনে দিতে চায় “ বন্ধু তোমার”। মনের কথা গুলোকে বন্ধুর মত শুনে বুঝে মানসিক শক্তি ফিরিয়ে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। “বন্ধু তোমার” গোপনীয়তা এবং সহমর্মিতার সাথে, সম্পুর্ন খোলা মনে মানুষের কথা শোনে এবং প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার চেষ্টা করে। বিঃদ্রঃ বন্ধু তোমার কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র নয়।