আমার কখনো ভুল হয়না/আমি ভুল বলিনা - ইগো
ইগো। ছোট্ট একটা শব্দ, অথচ ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত এর ইম্প্যাক্ট খুবই ভয়ানক।
অনেকে ইগো এবং সেলফ রেস্পেক্ট কে একই জিনিস ভেবে ভুল করেন। বস্তুত ইগো এবং সেলফ রেস্পেক্ট এর মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে।
সহজ কিছু উদাহরণ দেইঃ
আমি ভাল লিখতে পারি - সেলফ রেস্পেক্ট।
আমি অমুকের চেয়েও ভাল লিখতে পারি - ইগো।
আমি ভাল ব্যাটিং করতে পারি - সেলফ রেস্পেক্ট।
আমি অমুকের চেয়েও ভাল ব্যাটিং করতে পারি - ইগো।
মানুষ ভুল করে, ভুল আমারও হতে পারে - সেলফ রেস্পেক্ট।
আমার কখনো ভুল হয়না/আমি ভুল বলিনা - ইগো
অর্থাৎ সেলফ রেস্পেক্ট হচ্ছে নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা এবং সে অনুযায়ী নিজেকে মুল্যায়ন করা, এবং এই মুল্যায়ন অন্যের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গীর উপর নির্ভর করেনা। ভুলটা আপনার নিজের জানার পর সেটা স্বীকার করে সেলফ রেস্পেক্ট আপনার নিজের মুল্যটা ধরে রাখতে শেখায়, অন্যকে আঘাত না করেই।
অপরদিকে ইগো হচ্ছে নিজেকে আর সবার চেয়ে বেটার ভাবা, আপনি ভুল বলছেন কিংবা করছেন জেনেও অন্যের কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে অহেতুক বাগাড়ম্বর করা। ভুলটা আপনার জানার পরও অন্যকে কষ্ট দিয়ে কিংবা পৃথিবী চুলায় গেলেও নিজের মতামত টাই সঠিক প্রমানে উঠে পড়ে লাগা।
ইগো আপনার চোখ কে অন্ধ করে দেয়, যা সত্যি সেটা দেখা থেকে বিরত রাখার জন্য। আপনার কান কে বধির করে দেয়, যা সত্য সেটা না শোনার জন্য। আপনার মুখ কে সেলাই করে দেয়, যা সত্য সেটা স্বীকার না করার জন্য।
ইগো অদৃশ্য এক মোটা রশি দিয়ে আপনার হাত দুটো কে বেধে দেয়, ভুলটা নিজের বুঝতে পারার পরও প্রিয় মানুষ টির দিকে দু হাত না বাড়াবার জন্য...
শেষ কথা, মধু উপকারী - সন্দেহ নেই। কিন্তু মধুর পরিমিত ব্যবহার আপনাকে সুস্থ্য ও নীরোগ রাখবে, এবং অত্যাধিক ও অপরিমিত ব্যবহার আবার শরীর-স্বাস্থ্যের বারটা বাজাবে। ইগোর ব্যাপার টাও তেমন। স্বল্পমাত্রায় থাকা টা ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত ইগো নিজের তো বটেই, আশেপাশের সবার জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়।
Source:Clinical Psychology, University of Dhaka,fb group

Comments
Post a Comment