Posts

ঝগড়াতে জেতার বিষয়টাই কি বড় হয়ে যায় ?

Image
যে কোনো ধরনের সম্পর্কে মতের অমিল, কথা কাটাকাটি হতেই পারে। তবে সমস্যাটা বাঁধে যখন ঝগড়া শেষ হয় না। ঝগড়াটাকে মুখ্য না করে ফেলা: অনেক সময় আমরা ভুলে যাই ঝগড়াটা আসলেই কী নিয়ে শুরু হয়েছিল। তখন মূল সমস্যা মেটানোর চেয়ে ঝগড়া চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েই বা ঝগড়াতে জেতার বিষয়টাই বড় হয়ে যায়।  এটা সম্পর্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে যেটা সবচেয়ে খারাপ হয় তা হচ্ছে ঝগড়া মিটে যাওয়ার পরেও রাগের মাথায় বলা কটু কথা সম্পর্কের মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে গেলে সব সময় মনে রাখতে হবে, পুরানো সমস্যা খুঁচিয়ে ঝগড়া করা কোনো ভালো ফল বয়ে আনে না।

মানসিক চাপ, উদ্বেগ,অশান্তি বা টেনশন

Image
জন্তু জানোয়ারের কোন উদ্বেগ বা উৎকন্ঠা আছে কি না জানা নেই; হয়তো বিপজ্জনক কিছু সামনা সামনি এসে গেলে ভয় পায়, কিন্তু মানুষি একমাত্র জীব বোধহয় আগামী দিনের খারাপ কিছুর কথা ভেবে উদ্বেগ গ্রস্থ হয়।সব মানুষের এই উদ্বেগ বা টেনশন সমান নয়। কেউ কেউ বেশী উদ্বিগ্ন বা উৎকন্ঠায় থাকে,আর কেউ কম টেনশনে থাকে।তাই মনকে টেনশন-ফ্রি করার জন্য আমরা কত কি করে থাকি, যেমন যোগ ব্যয়াম করি,মেডিটেশন করি ইত্যাদি। মানসিক চাপ বা উৎকন্ঠা সবসময় খারাপ তা কিন্তু নয়।যেমন কা রও যদি পরীক্ষায় ফেল করার যদি কোনো ভয় না থাকে তবে সে পড়াশোনা ঠিক মতো করবে না, তাতে তার ফলও ভাল হবে না।আবার যদি খুব বেশী দুশ্চিন্তা থাকে পরীক্ষানিয়ে তাহলে পড়ায় মন বসাতে পারবে না, তাতে ফল ভাল হবে না।একটু টেনশনে সাধারনতঃ ভালই হয়। কি কি কারনে মানসিক চাপ বা টেনশন হতে পারে? দেখা গেছে যে মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় দুঃখের ঘটনা বা সবচেয়ে বেশী মানসিক চাপ সৃষ্টি করে-তা হলো স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যু।এছাড়া আরও অনেক কারন আছে যেমনঃবিবাহ বিচ্ছেদ, জেল খাটা, পরিবারের কোন ঘনিষ্টজনের মৃত্যু,চাকরি চলে যাওয়া বা অবসর নেওয়া,সন্তান গর্ভে আসা, কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়া,বাড়ীর লোকজনের সাথে ...

প্যানিক অ্যাটাক(Panic attack) সম্পর্কে জেনে নিন

Image
  উদ্বিগ্ন মানুষদের কখনও কখনও টেনশন বা Anxiety তীব্র আকারে হতে পারে,তখন সেই অবস্থাটাকে বলা হয় প্যানিক অ্যাটাক(Panic Attack). এর উপসর্গগুলি হলঃ ১)হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে উঠা,মনে হতে পারে এখুনি হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। ২)জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে,মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে যাবে,তখন আক্রান্ত ব্যক্তি খোলা যায়গায় যেতে চেষ্টা করে। ৩)অনেক ঘামতে থাকে,ভয়ে গলা মুখ শুকিয়ে যায়,মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে।মনে হতে পারে মাথাঘুরে পড়ে যাবো। ৪)হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়,মনে হতে পারে হাত পায়ের আঙ্গুলে যেন ছুঁচ ফুটছে। ৫)বমির ভাব বা বমিও করতে পারে।জোরে পায়খানা বা পেচ্ছাব পেতে পারে। ৬)অত্যধিক ভাবে হলে,রোগী বুঝতে পারে না আশেপাশে কি হচ্ছে। এই প্যানিক অ্যাটাক কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত্য হতে পারে।এটা দিনে বার বার হতে পারে। আবার কারও কারও হয়ত মাসে বা সপ্তাহে কয়েকবার হতে পারে। এই প্যানিক অ্যাটাকের ভয়ে অনেক সময় রোগী বা রোগীনী স্বাভাবিক হতে পারে না।সব সময় ভাবতে থাকে এই বুঝি আবার হবে।এর জন্য উদ্বিগ্ন ভাব সবসময় কম বা বেশী করে থাকে। এই প্যানিক অ্যাটাক কারো কারো বিশেষ ক্ষেত্রে হতে পারে। যেমন কারো বাইরে একা গেলে হয়। কারও কোনো ...

অত্যধিক টেনশনের জন্য যে শারীরিক অসুখগুলি হতে পারে

Image
পেটে,মানে পাকস্থলিতে আলসার বা ঘা —মনের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি হওয়া এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকস্থলিতে আসিড ও পেপিসন নামক হরমোনের অধিক ক্ষরনের ফলে পাকস্থলিতে আলসারের বৃদ্ধি পায়।সেই জন্য টেনশন কমানোর জন্য নানা ঔষধ দিয়ে এই রোগের প্রকোপ কমানো হয়। উদ্বেগজনিত মাথাব্যথা  (Tension headache)—এই ব্যথা সাধারনতঃ দিনের শেষে শুরু হয়, কারো কারো সারাদিনই থাকতে পারে।এটা হয় মাথা ও ঘাড়ের মাংস পেশীর টেনশনের কারনে সংকোচনের জন্য।অনেক সময় এর সংগ ে মানসিক অবসাদও দেখা যায়। যৌন সমস্যা —উদ্বেগের কারণে যৌনকাঙ্খা কমে যেতে পারে।পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গের দৃড়ভাব কমে যেতে পারে এবং নারীদের ক্ষেত্রে যৌনজীবন সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের বা হৃদযন্ত্রের অন্যান্য অসুখ —যারা অনেক মানসিক চাপের মধ্যে দীর্ঘিদন কাজ করেন, বা যাদের পরিবারে কারো ঊচ্চরক্তচাপ আছে,বা হার্টের অসুখ আছে, তাদের, অত্যিধিক টেনশনে থাকলে, ঐ রোগ গুলি হতে পারে।দেখা গেছে যে উদ্বেগের কারনে রক্ত চাপ অনেক বেশী বেড়ে গেলে ব্রেনে বা হার্টে ষ্ট্রোক হতে পারে। হাঁপানি রোগ  —উদ্বেগের কারণে Asthma বা হাঁপানির টান বেশী হতে পারে।যাদের সব...

আপনি কি জাজমেন্টাল ???

Image
  নিজের জাজমেন্ট দেয়া আর জাজমেন্টাল আচরণ এক জিনিস নয়। কোন একটা বিষয়ে আপনার মতামত আপনি তখনই দিতে পারেন, যখন সেটা আপনার কাছে চাওয়া হয় অথবা যার বিষয়ে মতামত দেয়ার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু অনেক সময় আমরা পুরো বিষয়টি না জেনেই সেটা জাজ করি। যে কোন ব্যাপারেই যেন বিচারক বনে যাই। জাজ করা যেন একটা অভ্যাসে পরিনত হয়েছে আমাদের। হয়ত অনেক সময় সেটা কাজে লাগে, আবার অনেক সময় হয়ত কারও জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কখনো বা আবার এতে অনেকে কষ্টও পেয়ে থাকেন। অথচ এটাও কিন্ত সত্যি যে কষ্টও দেয়ার উদ্দেশ্য হয়ত থাকে না কারোরই। কিন্তু এই অভ্যেসটা যে আসলে খুব একটা ভালো অভ্যেস নয়, সেটা কিন্ত আমাদের বুঝতে হবে। ছবি ক্রেডিটঃপাউলা'স পয়েন্ট

ডিপ্রেশন পর্ব -৩

Image
 আগের পর্বের পর...  *নানা চাহিদা। চাহিদার শেষ নেই। একটা পেলে আরেকটা চায়। কখনো একটাতে বা একটুতে সন্তুষ্ট নয়। বারবার বিভিন্ন ধরনের আবদার বা বায়না করতে থাকে। *ভালোবাসা বা প্রেম  ভালোবাসায় ব্যর্থতা আসলে, প্রেম সফল না-হলেই ডিপ্রেশন হয়ে যাওয়া। ফলে নেশা করে বা অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ করতে থাকে। *ক্রোধ  যে ধরনের বিচার বা চিন্তা চলবে তা যদি নেতিবাচক বা ব্যর্থ হয় তাহলে ক্রোধ জন্ম নেয়। এড্রোনিল গ্রন্থি, ক্যাপিলারি টিউব, নিউরোনসের যেমন ক্ষতি হতে পারে, তেমনি ভুলও হতে পারে। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ডিপ্রেসড হতে সাহ ায্য করে। ক্রোধের বশে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। অনেকে বলেন, ক্রোধ ছাড়া চলে না। এটা ভুল। ক্রোধ শুধু ক্রোধ নয়-এ যেমন নিজেকে জ্বালায়, অন্যকেও জ্বালায়। ফলে, ক্রোধ হলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। ডিপ্রেশনের শিকার হতে হয়। * ইমোশন ইমোশনাল হওয়া ভালো কিন্তু অতি ইমোশনাল হওয়া ভালো নয়। এ হলো ডিপ্রেশনের লক্ষণ। ইমোশনাল ব্যক্তি বারবার চেষ্টা করে অন্যকে আকর্ষিত করতে। যখন পারে না বা নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে যখন ব্যর্থ হয়, তখন ডিপ্রেশন আক্রান্ত হয়ে যায়। *আত্মহত্যা  আত...
Image
বদমেজাজ;পর্ব -২ বদমেজাজি মানুষেরা পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে অবহেলার শিকার হন।কঠিন এই স্বভাবের কারনে কেউ তার সাথে মিশতে চায় না। নিজের ধারনাকে সঠিক আর অন্যকে সবসময় ভুল ভাবার কারনে সকলের সাথে তার মতভেদ/ঝগড়া হয়। একে তো বদমেজাজী ,তার ওপর এই আত্নতুষ্টি থাকায় তার সঙ্গে বসবাসকারী স্ত্রী ও সন্তানরা অধিকাংশ সময়েই অবসাদে (Depression ) ভুগতে থাকেন । কারো যদি বদমেজাজী স্বভাব হয় ও সে যদি নিজে এটা জা নেন তাহলে দয়া করে সতর্ক হন । এই স্বভাবের জন্য আপনি খুব তাড়াতাড়ি হাইপারটেনশন , সুগা র , পেটের সমস্যা , মাথাধরা ও আরো অনেক জটিল রোগের শিকার হতে চলেছেন । নিজেকে একটু বোঝান যে শুধু আপনার এই বদমেজাজী স্বভাবের জন্য আপনার সঙ্গে সঙ্গে আপনার পরিবারও শেষ হতে চলেছে । যদি কোন শারীরিক সমস্যার জন্য এটা হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে তার ট্রিটমেন্ট করান ।মানষিক শান্তি স্থাপনের জন্য যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন খুবই ভালো দুটো পদ্ধতি । এগুলি চেস্টা করে দেখতে পারেন । আর সর্বোপরি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন , আপনার পরিবারকে ভালো রাখার স্বার্থে আপনাকে এই বদমেজাজী স্বভাব পরিত্যাগ করতেই হবে । তথ্যসুত্রঃইন্টারনেট